বর্ধমান বিভাগে ডাককর্মচারী
মেসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
*************************
আজ যেটা বর্ধমান ডিভিশনাল অফিসের আধার সেন্টার,সেটা পরিচিত ছিল ননিদার মেস নামে।এই মেস তৈরিরও ইতিহাস আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হবার কারণে এখন অনেক দূর থেকেও কর্মীরা বাড়ী থেকে যাতায়াত করতে পারেন।আগে এই সুবিধা ছিল না। সরকারি কর্মচারী দের একটা বড় অংশ মেসে থাকতেন।বর্ধমানে অনেক মেস ছিল।ডাক কর্মচারীদেরও কয়েকটি মেস ছিল।তেঁতুল তলা বাজারে সব থেকে বড় মেস ছিল।পোস্টাল মেস নামে।অনেকেই থাকতেন,ননিদাও ওই মেসে থাকতেন।পরে মালিকের সঙ্গে বিবাদের কারণে তিনি মেস উঠিয়ে দেবার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু বিকল্প ব্যাবস্থা কিছু করা যাচ্ছিল না।এদিকে ওই কোয়ার্টার দুটি তখন খালি পড়েছিল।সকলে ঠিক করলেন ওই কোয়ার্টার গুলি যাতে মেস করা যায় তার জন্য তৎকালীন sr supdt এর কাছে আবেদন করবেন।সেই মতো আবেদন করা হলো।কিন্তু sr supdt সেই আবেদন নাকচ করলেন। কি করা যায়? কিন্তু কর্মচারীদের হার না মানা অদম্য জেদ ও বলিষ্ঠতায় বলীয়ান হয়ে ওখানেই মেস খোলা হলো।পরের দিন সকলেই হতবাক। sr supdt ননী দা, শ্যামল ব্যানার্জী সহ আরো অনেক কে মেস খোলার জন্য explanation করলেন।কিন্তু মেস থেকে গেল। বিষয়টি যখন COM K.G BOSE এর কাছে পৌছালো, তিনি সামাল দিলেন।মেস থেকেই গেল।পরবর্তী কালে এই মেস ই বর্ধমানের কর্মচারী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছিল। কর্মচারী বিরোধী ছিদ্রান্বেষী শক্তির নজরে পড়লেও তারা মেসের ভিতরে ঢোকার সাহস পায়নি। পূর্বে কমরেড শ্যামল ব্যানার্জীর নাম উল্লেখ করেছি, তিনি পরে পোস্ট অফিসের চাকুরী ছেড়ে অন্যত্র চাকুরী পেয়ে চলে যান। এই রকম বেশ কিছু অমলিন স্মৃতি আজও আমাদের মনের মণিকোঠায় চিরবিরাজমান।
কলমে- অশোক চ্যাটার্জী
সম্পাদক,
পেনশনার্স সংগঠন
বর্ধমান বিভাগ,713101
https://aipeuburdwan.blogspot.com
0 Comments